এটিএম কার্ড জালিয়াতি বাড়ছে
সাইবার নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়ছে এটিএম কার্ড জালিয়াতি। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং ও অন্যান্য মাধ্যমে ঘটছে জালিয়াতির ঘটনা। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি সিকিউরিটি অব ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ: থ্রেটস অ্যান্ড প্রিপেয়ার্ডনেস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম। গবেষণা দলে আরও ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান, সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী, প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব টেকনোলজি শ্যামল বি দাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফভিপি) মো. সাইফুল ইসলাম।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০টি জালিয়াতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৪৩ শতাংশ ঘটনা এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে ঘটেছে।
এর পরেই রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। প্রায় ২৫ শতাংশ জালিয়াতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘটেছে। প্রায় ১৫ শতাংশ এসিপিএস ও ইএফটির মাধ্যমে জালিয়াতি ঘটছে ব্যাংকিং খাতে। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ শতাংশ, ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে ৩ শতাংশ, সুইফট ও অন্যান্য মাধ্যমে ঘটেছে ২ শতাংশ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, দিন দিন বিশ্বব্যাপী আইটি ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতও এর বাইরে নেই।
এ খাতের ওপর যেসব আক্রমণ হচ্ছে তা জটিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আলাদা গাইডলাইন তৈরি করেছে। এগুলো সঠিকভাবে পালন করলে ঝুঁকি কমে আসবে।
Sourse: বিজনেস আওয়ার